(পর্ব-১১) আল্লাহর বাণী হতে হলে বিজ্ঞানের সাথে মিলতে হবে – জাকির নায়েক

মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী


‘‘আল্লাহর বাণী হওয়া প্রমাণ করা’’ সম্পর্কে ডাক্তার জাকির নায়েকের মতবাদ হলো–
———————————————————————

ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন–

“ কোন্ কিতাবটি প্রকৃতই আল্লাহর বাণী–তা জানতে হলে তাকে আধুনিক সায়েন্স ও টেকনোলজির দ্বারা যাচাই করতে হবে। যদি তা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলে, তাহলে বুঝে নিবেন যে, এটা আল্লাহ তা‘আলার বাণী। “

(দ্রষ্টব্য : সায়েন্স আওর কুরআন, পৃষ্ঠা নং ৪৩/ ডা. জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ৫, পৃষ্ঠা নং ১৬৪)

ডাক্তার জাকির নায়েক “Concept of God In Hinduism, Christianity, And Islam” শীর্ষক সেমিনারের প্রশ্নোত্তর পর্বে উক্ত বক্তব্য প্রদান করেছেন। তার সেই বক্তব্যের ভিডিও ইন্টারনে্েটের ইউটিউবে “Concept of God In Hinduism, Christianity, And Islam by Dr. Zakir Naik” নামে রয়েছে। ইউটিউবে তার সেই বক্তব্য শুনতে নিম্নোক্ত লিঙ্কে লগইন করুন (উল্লেখ্য, এ ভিডিওটির ৩ ঘন্টা ১৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড থেকে তার সেই বক্তব্য শুনতে পাবেন) —


এ ছাড়াও তার উক্ত বক্তব্য বাংলা ভার্সনে ইউটিউবে “Bangla: Dr. Zakir Naik’s Lecture – Concept o God In Hinduism, Christianity, & Islam” নামে রয়েছে। তার উক্ত বক্তব্য বাংলা ভার্সনে শুনতে ইউটিউবের নিম্নোক্ত লিঙ্কে লগইন করুন (উল্লেখ্য, এ ভিডিওটির ২ ঘন্টা ৩৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ড থেকে তার সেই বক্তব্য রয়েছে) —

###### পর্যালোচনা #####

এটা ডাক্তার জাকির নায়েকের কুফরী মতবাদ। মহান আল্লাহর নাযিলকৃত পবিত্র কুরআানের সত্যতাকে মানুষের তৈরী বিজ্ঞানের ‍মুখাপেক্ষী করা স্পষ্ট কুফরী। কুরআনের সত্যতা বিজ্ঞান দ্বারা নয়, বরং বিজ্ঞানের সত্যতা কুরআন দ্বারা যাচাই হতে পারে। কারণ, কুরআন মহান আ্ল্লাহপ্রদত্ত প্রকৃত জ্ঞানের ধারক–যা চিরসত্য ও চিরন্তন। পক্ষান্তরে বিজ্ঞানের থিউরি মানুষের মস্তিষ্কের চিন্তা-গবেষণা, অভিজ্ঞতা ও অনুমান নির্ভর ফলাফল–যা সত্যও হতে পারে, আবার ভুলও হতে পারে।

তাই বিজ্ঞানের শুদ্ধতা-অশুদ্ধতার বিষয় পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে যাচাই করা যায়, কিন্তু বিজ্ঞানের মাধ্যমে কুরআনের সত্যতা যাচাইয়ের অবকাশ নেই। পবিত্র কুরআনের সত্যতা বিজ্ঞানের দ্বারা যাচাইয়ের উর্দ্ধে।

তা ছাড়া পবিত্র কুরআনের সত্যতা অন্যকিছুর মাধ্যমে প্রমাণের প্রয়োজনই নেই। কেননা, পবিত্র কুরআনের সত্যতার প্রমাণ রয়েছে কুরআনের মধ্যেই। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াতে এ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করেছেন। যেমন, পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন–

وَاِنۡ کُنۡتُمۡ فِیۡ رَیۡبٍ مِّمَّا نَزَّلۡنَا عَلٰی عَبۡدِنَا فَاۡتُوۡا بِسُوۡرَۃٍ مِّنۡ مِّثۡلِہٖ ۪ وَ ادۡعُوۡا شُہَدَآءَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ فَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا وَ لَنۡ تَفۡعَلُوۡا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِیۡ وَقُوۡدُہَا النَّاسُ وَ الۡحِجَارَۃُ ۚۖ اُعِدَّتۡ لِلۡکٰفِرِیۡنَ

“যদি তোমরা সন্দেহের মধ্যে থাকো এ (কুরআনের) ব্যাপারে যা আমি আমার বান্দার উপর (রাসূলুল্লাহ সা.-এর উপর) অবতীর্ণ করেছি, তাহলে তোমরা এর মতো একটি সূরাহ বানিয়ে নিয়ে এসো এবং এ জন্য আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে ডাকো–যদি তোমরা সত্যবাদী হও। কিন্তু যদি না পারো আর তা কষ্মিনকালেও পারবে না, সুতরাং তোমরা (জাহান্নামের) আগুনকে ভয় করো–যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফিরদের জন্য।”

(সূরাহ বাক্বারা, আয়াত নং ২৩-২৪)

এ ছাড়াও মহান আল্লাহ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাধ্যমে বিভিন্ন মু‘জিযার প্রকাশের দ্বারা তাঁর রিসালত এবং তাঁর আনীত ইসলাম ও আল্লাহর নাযিলকৃত কুরআনের সত্যতা পৃথিবীবাসীদের নিকট দিবালোকের ন্যায় উদ্ভাসিত করে দিয়েছেন। সুতরাং এর বাইরে বা বিতর্কিত কোন পন্থায় পবিত্র কুরআনের সত্যতা প্রমাণের কোন জো নেই।

ডাক্তার জাকির নায়েকের থিউরি “যদি তা বিজ্ঞানের সাথে মিলে, তাহলে বুঝে নিন–তা আল্লাহর বাণী”–এ থিউরি অনুযায়ী তো যে কেউ বিজ্ঞানের থিউরি অনুযায়ী কথা বানিয়ে তাকে ‘আল্লাহর বাণী’ বলে দাবী করতে পারে! কেননা, ডাক্তার জাকির নায়েকের থিউরি মতে তা আল্লাহর বাণী হওয়ার তো প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, তা বিজ্ঞানের সাথে মিলেছে! তখন তার বানানো কথাকে আল্লাহর বাণী নয় বলবেন কী করে? (নাউযুবিল্লাহ)

আর বাস্তবেও ডাক্তার জাকির নায়েক এমন অপকীর্তিই করেছেন। তিনি (কুরআনের আয়াতের অর্থ বর্ণনায়) নিজের পক্ষ থেকে কথা বানিয়ে তাকে ‘আল্লাহর বাণী’ বলে দাবী করেছেন এবং তাকে আল্লাহর বাণী বলে প্রমাণ করতে তিনি তাকে তার কথিত বিজ্ঞানের সাথে মিল করে দেখিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)।

উদাহরণ স্বরূপ, পবিত্র কুরআনে সূরাহ নাযি‘আত-এর ৩০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন– وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَٰلِكَ دَحَاهَا অর্থ–“আসমান সৃষ্টির পর আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন”। কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক মনে করেছেন–কুরআনের এ আয়াত দ্বারা পৃথিবী সমতল হওয়া বুঝা যাচ্ছে–যা তার ধারণানুযায়ী বিজ্ঞানের সাথে মিলতেছে না। বিজ্ঞানের থিউরির সাথে মিলতে হলে এ আয়াতে পৃথিবীকে গোল বুঝাতে হবে। তাই ডাক্তার জাকির নায়েক এ আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে নিজের পক্ষ থেকে এ আয়াতের অর্থ বানিয়ে বলেন যে, এ আয়াতের অর্থ হলো–“He made the earth egg-shaped (আল্লাহ পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতি করে সৃষ্টি করেছেন)।” এরপর মনগড়া তথ্য দিয়ে ডাক্তার জাকির নায়েক টিকা টেনে বলেন, “The Arabic word ‘dahhaahaa’ is derived from ‘Dahhyah’ which means ‘egg’ ” (এখানে আরবী دَحَاهَا (দাহাহা) শব্দ ‘দাহইয়া’ থেকে এসেছে যা ডিম বুঝায়)।” এভাবে ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন যে, “دَحَاهَا শব্দের অর্থ উটপাখির ডিম। এখানে কুরআন বলছে, উটপাখির ডিমের আকৃতি হচ্ছে পৃথিবীর ভূ-গোলকীয় আকৃতির ন্যায়।”

(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ১, পৃষ্ঠা নং ৭৭ ॥ প্রকাশনায় : পিস পাবলিকেশন–ঢাকা)

ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত বক্তব্যের ভিডিও-স্ক্রিপ্ট ইন্টারনেটের ইউটিউবে “Quran & Modern Science Conflict or Conciliation | Dr Zakir Naik” নামে রয়েছে। ইউটিউবে তার উক্ত বক্তব্য শুনতে নিম্নোক্ত লিঙ্কে লগইন করুন (উল্লেখ্য, এ ভিডিওটির ১৪ মিনিট ৩ সেকেন্ড থেকে সেই বক্তব্যটি পাবেন) —

এ ছাড়াও ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত বক্তব্যের বাংলা ডাবিংকৃত ভিডিও ইউটিউবে “Bangla! Qur’an and Modern Science-Conflict Or Conciliation By Dr.Zakir Naik” নামে রয়েছে। তার উক্ত বক্তব্য বাংলা ডাবিংয়ে শুনতে ইউটিউবের নিম্নোক্ত লিঙ্কে লগইন করুন (উল্লেখ্য, এ ভিডিওটির ২৪ মিনিট ১৭ সেকেন্ড থেকে সেই বক্তব্যটি রয়েছে) –

আসতাগফিরুল্লাহ, ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনের আয়াতের অর্থকে কীভাবে পরিবর্তন করে বিকৃত করে দিলেন! যেখানে আয়াতে বলা হয়েছে, পৃথিবীকে (বিছানার ন্যায়) বিস্তৃত বা সমতল বানানো হয়েছে, ডাক্তার জাকির নায়েক তাকে উল্টিয়ে বললেন, আয়াতে বলা হয়েছে, পৃথিবীকে ডিমের মতো গোল বানানো হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)

এক্ষেত্রে মজার ব্যাপার হলো, ডাক্তার জাকির নায়েক যে কুরআনের আরবী কিছুই বুঝেন না, এখানে তিনি তার সেই জাহালাতের পরিচয় দিয়েছেন যে, এ আয়াতে যেখানে دَحَاهَا (দাহাহা) শব্দটি হচ্ছে কর্মপদের সর্বনাম যুক্ত অতীতকালের ক্রিয়াপদ–যার অর্থ–“তিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন”, অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক دَحَاهَا শব্দের অর্থ করেছেন–“উটপাখির ডিম”–যার কারণে এ ক্রিয়াপদটি বিশেষ্যপদ হয়ে যায় । বলা বাহুল্য, পৃথিবীর কোন অভিধানে এ শব্দের এ অর্থ নেই এবং আরবী ব্যাকরণ অনুযায়ী এ শব্দের এ অর্থ কখনো হতে পারে না।

তা ছাড়া এরপরের তিনটি আয়াতে পৃথিবীর বিস্তৃতির স্বরূপ ব্যাখ্যা করা হয়েছে–যার সাথে دَحٰىہَا (দাহাহা) অর্থ–“তিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন”-এর মিল রয়েছে, কিন্তু এর সাথে উটপাখির ডিমের কোন সম্পর্ক নেই। সুতরাং ডাক্তার জাকির নায়েকের অর্থ এ্খানে কোনভাবেই খাটে না।

অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক শুধুমাত্র তার ধারণা মতে কথিত বৈজ্ঞানিক থিউরির সাথে কুরআনের তথ্যকে মিলানোর নামে কুরআনের উপর এমন মারাত্মক হস্তক্ষেপ করে তার অর্থকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। যা কুরআনকে বিকৃত করার শামিল।

কিন্তু আাসল ব্যাপার হলো, এভাবে অর্থ বিকৃতি করার কারণে ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত তথ্য বিজ্ঞানের সাথে মিলার পরিবর্তে তা বিজ্ঞানের থিউরির বাইরে চলে গিয়েছে। কারণ, বিজ্ঞান পৃথিবীকে কমলালেবুর মতো গোলাকার বলেছে–যা উত্তরমেরু ও দক্ষিণ মেরুর দিকে কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ স্ফীত। বিজ্ঞান পৃথিবীকে উটপাখির ডিমের মতো বলেনি–যা কিছুটা লম্বাকৃতির মসৃণ গোলাকার হয়ে থাকে।

অপরদিকে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পৃথিবীর গোলাকার হওয়া সাব্যস্ত হয় পৃথিবীর সামগ্রিক আয়তন বা বৃহৎ দুরত্বের বিবেচনায়। কিন্তু মানুষের দৃষ্টিসীমার মধ্যকার পৃথিবীর ছোট দুরত্বের অংশ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে গোলাকার নয়, বরং তা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সমতল বলেই গণ্য হয়েছে। এ আপেক্ষিত তত্ত্বে মানুষের দৃষ্টিসীমার পৃথিবীকে বিজ্ঞান কুরআনের বর্ণনার মতোই বিছানার ন্যায় সমান্তরালে বিস্তৃত বলে উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ বৃহাদাকার পৃথিবীর গোলাকারের সুদূর পরিধি ক্ষুদ্র দৃষ্টিসীমার ছোট দুরত্বে প্রকাশ পায় না। যে কারণে তখন তা সমান্তরাল বলেই গণ্য হয়।

এ ব্যাপারে বিজ্ঞানের বিস্তারিত তথ্য উইকিপিডিয়ার নিম্নোক্ত লিঙ্কে দেখুন–
https://bn.wikipedia.org/s/2k4j

 

বলা বাহুল্য, মানুষ সাধারণত খালি চোখে পৃথিবীকে বিস্তৃত ও সমতলই দেখে থাকে। আর আধুনিক বিজ্ঞানও মানুষের সাধারণ দৃষ্টিসীমার দেখা পৃথিবীকে সমতলই বলেছে। পবিত্র কুরআনের উক্ত আয়াতে মানুষের এ দৃষ্টিসীমার পৃথিবীর কথাই বলা হয়েছে যে, আল্লাহ পৃথিবীকে (বিছানার ন্যায়) বিস্তৃত করেছেন।

(দেখুন : তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৮ম খণ্ড, ৩১৬ পৃষ্ঠা)

সুতরাং এক্ষেত্রে কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের কোন বিরোধ নেই। বিজ্ঞানের কথা কুরআনের মতোই রয়েছে। তাই এ নিয়ে মাথা নষ্ট করার কিছু নেই।

কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর নামে মনগড়াভাবে কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করে কুরআনের সেই সঠিক তথ্যকে ভুল বানিয়ে দিয়েছেন এবং তাকে বিজ্ঞানেরও বিরোধী বানিয়ে ফেলেছেন। এভাবে তিনি কুরআনের আয়াতকে উল্টিয়ে জাল কুরআন বানিয়ে মারাত্মক ফিতনার জন্ম দিয়ে মানুষকে গোমরাহ করার ব্যবস্থা করেছেন এবং বিজ্ঞান গবেষকদেরও হাসির খোরাক যুগিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)।

অধিকন্তু শিউরে ওঠার মতো ব্যাপার হলো, ডাক্তার জাকির নায়েক উক্ত সূরাহ নাযি‘আত-এর ৩০ নং আয়াতের সেই অর্থ অর্থাৎ “He made the earth egg-shaped” এবং সেই সাথে তার বর্ণনাকৃত টিকা “The Arabic word ‘dahhaahaa’ is derived from ‘Dahhyah’ which means ‘egg’ ” এসব কালেক্ট করেছেন মিথ্যুক ভণ্ড নবী দাবীদার কুখ্যাত রাশেদ খলীফার কাছ থেকে–যিনি মূল কুরআন থেকে অনেক আয়াত ছাটকাট করে বাদ দিয়ে মনগড়া নতুন কুরআন তৈরী করেছেন এবং আল্লাহর থেকে ওহী পাওয়ার নামে বিভিন্ন আয়াতের মনগড়া অর্থ করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। উল্লিখিত অর্থটিও সেই ধরনেরই তার ভণ্ডামিপ্রসূত অর্থ। এভাবে জাকির নায়েকের বর্ণনাকৃত উক্ত অর্থ টিকাসহ হুবহু ভণ্ড নবী দাবীদার রাশেদ খলীফার বানানো অনুবাদে রয়েছে। প্রমাণের জন্য রাশেদ খলীফার বানানো কুরআন সাইট থেকে তার উক্ত সূরাহ নাযি‘আত-এর ৩০ নং আয়াত وَالۡاَرۡضَ بَعۡدَ ذٰلِکَ دَحٰىہَا -এর অর্থ দেখুন নিম্নবর্ণিত লিঙ্কে (৬ষ্ঠ লাইনে ডানে আরবী ও বামে তার অর্থ ও টিকা দেখতে পাবেন) :

https://submission.org/QI#79:25-46

দুঃখজনক যে, নির্ভরযোগ্য মুফাসসিরগণের শত শত সহীহ অনুবাদ ও তাফসীর থাকতে সেগুলো বাদ দিয়ে ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনের অর্থ করতে পথভ্রষ্ট ভণ্ড নবী দাবীদার কাফির রাশেদ খলিফার দারস্থ হয়েছেন এবং তার পথ ধরে কুরআনকে বিকৃত করে ফেলেছেন। এভাবে তিনি নিজেও পথভ্রষ্ট হয়েছেন এবং মানুষকেও পথভ্রষ্ট করেছেন।

এভাবে নানারূপ বিপথগামিতার মধ্য দিয়ে নানারূপ ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টির ন্যায় ডাক্তার জাকির নায়েক বিজ্ঞানের দ্বারা কুরআনের সত্যতা যাচাইয়ের মনগড়া মতবাদ দ্বারা মহাফিতনার জন্ম দিয়েছেন। যা মানুষের ঈমানধ্বংসের মারাত্মক ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

9 thoughts on “(পর্ব-১১) আল্লাহর বাণী হতে হলে বিজ্ঞানের সাথে মিলতে হবে – জাকির নায়েক

  1. নিজে করে দেখাতে পারেন না তাই অন্যের ভালো কাজকে মূল্যায়ন করতে পারেন না।

    1. ভুল কে স্বীকার করো অন্ধ পুজারী

      1. ভাইজান বুঝলেন না! জাকির নায়েক হিন্দুদের নিয়ে খেলে আর আমাদের মুফতিরা মুসলমান নিয়ে খেলে। সুতরাং খেলার মাঠ একই কিন্তু খেলার ধরন আলাদা আলাদা। আল্লাহ অন্তরগমী মনে রাখবেন।

  2. ভাই মানুষ মাত্র ভুল থাকতে পারে কিন্তু ওনি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে বলেছে হয়তো বা অমুসলিমকে বুঝানোর জন্য ভাষা বিষয় ত্রুটি করছে। “আল্লাহর বাণী হতে হলে বিজ্ঞানের সাথে মিলতে হবে”

    আমি এই কথায় একমথ না, তাই বলে জাকির ভাই ভ্রান্ত ও না।

    আসুন সহজ করে দেখি এবং সহজ করে বোঝার চেষ্টা করি।

  3. পাগল কুথাকার কথাটাও বুঝে না উনি কি বলেছেন,তুমার মতো মুর্খরা মুফতি হয় কি করে?

  4. মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী , ভাই আপনার হিংসা লাগে! শুনুন আল্লাহ প্রত্যেকের মনের খবর রাখে। এবার ভাবুনতো আপনার এই পোষ্ট কি উদ্দেশ্য দিছেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version