বিয়ে ও তালাক

Md Naeem asked 2 years ago

আমি মোঃ নাঈম হোসেন।হুজুর আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমি সঠিক টা জানতে চাচ্ছি।আমি এক্টা মেয়েরে সাথে সম্পর্ক করে কাউ কে না জানিয়ে কাজি অফিস এ বিয়ে করছ।সময় আমাদের সাথে আরেক প্রেমিক প্রেমিকা ছিল। আমরা একটা দিন ফিক্সড করে চার জন একটা কাজি অফিস এ গিয়ে বিয়ে করেছি।বিয়ের সময় সাক্ষী হিসেবে কাউকে নিয়ে আসেনি।অর্থাৎ আমরা নিজেরাই সাক্ষী ছিলাম।আমাদের সাথে শুধু কাজিই ছিল।কাজি খুব তারাতারি খুতবা পরে আমাদের বিয়েটা দিয়ে দেই।লিখিত আকারে আমার সাথে আরেক জন কাবিন নামায় সাক্ষি দেই।এখন আমার প্রশ্ন আমাদের বিয়েটা হয়েছে কিনা।।।বিয়ের পর আমরা আলাদাই থাকতাম। কিন্তু অর সাথে আমার ফোনে ঝগড়া হত।কারন অয় বিয়ের আগে একরকম কথা বলছে কিন্তু বিয়ের পর আরেক রকম।জেটা করতে মানা করতাম সেটাই করত। আমি নামাজি ছিলাম তাকে নামাজ পরতে বলতাম কিন্তু নানা অজিহাত দেখাত।কিন্তু সে নামাজ না পরার জন্য আমি অসুন্তস্টি ছিলাম।আমি শুধু ঝগড়া করতাম অর সাথে অর ছেলেদের সাথে ফোনে কথা বলত।এর জন্য অকে অনেকেবার ছেড়ে দেবার হুমকি দেই।অকে খুব গালাগালি করতাম।এরকম চলতে থাকে।তারপর অ ঠিক হয় নাই।শুদু মিথ্যা কথা বলতো।আমার সাথে প্রেম করার আগে অই জাদের সাথে কথা বলতো ওই ছেলেগুলো ওকে ফোন দিতো।তার পর আমিও মেয়েদের সাথে কথা বলা সুরু করি কিন্তু আমি সব সময় চাইতাম আমরা দুজন ভালো থাকি আমদের মাযে আর কেঊ না আশুক কিন্তু অই ঠিক হত না।এর জন্য আমি অনেক বার ছেড়ে দেবার হুমকি দিছি।কিন্তু আমি যখন এগুলো সাইতে না পেরে তকে ছেড়ে দিলাম এরকম একবার মেসেজ করি।হুমকি দিবার জন্য বলচিলাম কিন্তু মন থেকে না।তারপর আবার কথা বলি কিন্তু আমার কথা শুন্তো না তারপর ফোনে রাগের মাথায় ২ তালাক বলে ফেলি কিন্ত হুমকি দিবার জন্য বলি।কিন্তু তিন তালাক দেই নি।তারপর অর সাথে আবার ঝগড়া লাগত কারন অই ঠিক হইতে চাইত না।অর বোনের সাথে একবার চার পাচটা ছেলেদের সাথে গুরতে যায়।তখন আমার কাছে ছবি পাঠায় তখন সে বলে তার বাইস্ততির সাথে গুরতে গেছেকিন্তু ওটা বিয়ের সময় দাওয়াত খাইতে গেছিল ছিল কিন্তু এতা আমি নেগেটিভ লি নেই।তারপর এটা নিয়ে আমি অর সাথে আমি অভিমান করি,রাগ করি অর সাথে কথা বলতে আর ভাল লাগত না।জিদ করে বসি এবার জেন আমার জীবন থেকে সরে জায়।কিন্তু এর জন্য আমি অনেক কষ্ট পাইতাম। তারপর সে বারিতে যায়।তার চাচতো ভাইয়ের সাথে একটা পিক তুলে আমার কাছে পাঠায়।তা দেখে আমি আর কষ্ট পাই।পরের দিন সে আমকে ফোন দেয়।আমি তার সাথে বেশি কথা না বলে নামাজ পড়তে যাই।নামাজ পরে আসি তখন আমি মনে মনে চাই ছিলাম অই যখন আমার জীবন থেকে সরতে যখন না চাই।আমি এমন কথা বলবো জেন সে এমনি চলে যাই।পরে যখন অই ফোন দেই তখন আমি অকে বলি আমিও একটা মেয়ের সাথে রাত কাটাইছি গতকালকে আমার জিবন থেকে সইরা জাও আমি খুব খারাপ,আমি আর ভাল নাই।একথা শুনে সেও আমাকে বল্লো যে অর চাচতো ভাইয়ের সাথে থাকছে তখন আমার রাগ মারাত্মক পর্যায় চলে যায়।একথা শুনে আমি অকে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক দেই।এরপর বলি তুই তর চাচতো ভাইয়ের লগে থাকছছ না এরপর আমি বলি আসলে তোর মুখ থেকে সত্যি কথা বের করার জন্য আমি বলছি আমি গতকাল এক্টা মেয়ের সাথে থাকছি।আসলে আল্লাহর কছম আমি তাহাকি নাই।তারপরও বলে অই কিছু করে নায়।আমি যদি কিছু করে থাকি আল্লাহই আমাকে বিচার করব।তখন ওকে বললাম তাহলে একথা কেন বল্লা মুখে আমি তিন তালাক দিতাম না।তখন আমি অনুতপ্ত হই কিছুটা যদি অই একথা না বলত তাহলে আমি সরাসরি বলতাম না।তারপর সে বলে তর মত বরিশাল এর ছেলেরা এরকম মেয়েদের খেয়ে চইল্লা যাই তারপর ফোন কাইটা দেই।।তার পর সে ফোন দেই আমি বেশি কথা বলি না।তারপর আমি কন্টাক্ট অফ রাখি।পরে ওই ফোন দেই তারপর তার সাথে কথা বলি কেন ফোন দিছেন।আপনি আমাকে ফোন দিবেন না আপনি আরেক যায়গাই বিয়ে করেন। সে বলে আমাকে কে বিয়ে করব।তারপর আমি ফোন কাইটা দেই।পরে আবার ফোন দেই এখন সে বলে সে অসুস্থ সে মনে বাঁঁচবে না একথা শুনে আমি আবার ফোন ধরি।আবার কথা বলা শুরু করি কারন অর প্রতি আমার ভালোবাসা রয়ে গেছে।এখন কথা বলি অর সাথে এখন সে বুঝতে পারছে তার ভুল গুল।কিন্তু এখন আমি যতটুকু বুজতে পারছি তাকে আমি মোট প্রথম বার দুবার দ্বিতিয় বার তিনবার মোট পাঁচবার তালাক দেয়া হয়ে গেছে।এখন সে কি আমার জন্য হারাম হয়ে গেছে।তাকে অনেক বার ছেড়ে দিব একথা বলেছি।।কিন্তু প্রথম বার তাকে ২তালাক দিয়েছি তাকে হুমকি দিবার জন্য বলেছি।আর ত্রিতীয় বার তাকে বলেছি আমি প্রথমে বলেছিলাম আমি একটা মেয়েএর সাথে রাত কাটাইছি তাই সেও বলছিল তাই আমি খুব উত্তেজিত হয়ে তাকে বলছি তোকে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক বলেছি।তখন আমার কাছে মনে হইল সে খারাপ কাজ আসলে করছে।কিন্তু পরে সে স্বিকার করলো সে এই কাজ করে নায়।তাহলে আমি একথা বলতাম না। এখন কি আমার অর সাথে তালাক হয়ে গেছে।কিন্তু আমি কন সময় ওকে ছাড়ার জন্য তালাক দেই নি।আমি সব সময় নিজে ভাল থাকতে চাইছি।আর সে যদি নিজেকে থেকে যদি ভাল না হয় তাহলে সেই আমাকে ছেড়ে দেয়।।।।।।হুজুর এখন আপনার কাছে চারটি প্রশ্ন ১ আমাদের বিয়েটা কি হয়েছিল ২ আমাদের বিয়ের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল কিনা।৩ যদি বিয়ে বা তালাক যদি না হয় আবার পরিবারের সাথে আলোচনা করে বিয়ে করা যাবে কিনা।৪ যদি তালাক হয়ে যায় তাহলে আমরা কি আবার বিয়ে করতে পারব কিনা কারন এখন সে আর আমি সব ভুল বুজতে পারছি