আমি এখন ক্লাস টেনএ পড়ি। এইটে যখন বোর্ড এক্সাম দিয়েছিলাম তখন আলাহর রহমতে সবকিছুই কমন পড়তো। এক্সাম একদম সহজেই দিতে পারতাম আলহামদুলিল্লাহ । এমনকি আমার পাশের এবং পেছনের ব্যক্তিরাও প্রায় পুরোটাই আমার কাছে থেকে দেখে দেখে লিখতো। গার্ডরা কিছুই বলতোনা। কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু উত্তর না পারলে আমি গার্ডকে কিংবা পরিচিত স্যারকে দেখলে জিজ্ঞেস করতাম। আমাদের মাদ্রাসাটা উপজেলার সেরা হওয়ার কারণে অনেক বড়বড় স্যারেরাই আমাদের চিনতো। ফলে তারা নিজে থেকে এসেই জিজ্ঞাসা করতো যে, সমস্যা আছে নাকি কোনো!
তখন যে কয়েকটা পারতামনা সেগুলো জিজ্ঞেস করে জেনে নিতাম। প্রায় এক্সামেই কয়েকটা করে জিজ্ঞেস করা লাগতো। তারাও নিঃসঙ্কোচে বলে দিতো। রেজাল্টও আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে এবং আমি বৃত্তিও পেয়েছি। এখন প্রশ্ন হলো, আমার এই বৃত্তির টাকা নেয়া কি হালাল হবে?? [অনেকে বলে, আমি তো আর নকল করিনি। স্যারদেরকে যে কেউ, কিছু জিজ্ঞেস করল
1 Answers
যা হবার তা তো হয়েই গেছে।
যেহেতু এভাবে স্যারদের কাছে জিজ্ঞেস করে লেখাটা নিয়ম বহির্ভূত কাজ। সুতরাং নিয়ম ভঙ্গের গোনাহ হয়েছে তা তো বলাই যায। অতএব পূর্ববর্তী গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চান। আর বৃত্তি পাওয়ার সাথে পরীক্ষায় নকলে কোন সম্পর্ক নেই বৃত্তি পাওয়ার সাথে সম্পর্ক হল যোগ্যতার। যদি আপনি বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে এই বৃত্তি পাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। আর যদি যোগ্য না হন বরং আপনি মেধাহীন ছাত্র হয়ে থাকেন আর নকল করে পরীক্ষায় পাস করে বৃত্তি পান অথচ আপনি যোগ্য নন তাহলে এক্ষেত্রে আপনি আপনার গোনাহ হবে। অন্যথায় কোন সমস্যা নেই কাজেই আগে দেখেন যে আপনি বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য কিনা। যদি আপনি যোগ্য হন তাহলে ঠিক আছে আর যোগ্য না হলে বৃত্তি বাতিল করে দেয়াটাই মঙ্গলজনক হবে
আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন।
Please login or Register to submit your answer