শহীদ আফ্রিদি শোনালেন তাবলিগে আসার কারগুজারি


লিখেছেন: আবদুল্লাহ তামিম.


মুহম্মদ শাহিদ খান আফ্রিদি বা শহীদ আফ্রিদি। একজন বিশ্ব বিখ্যাত পাকিস্তানি খেলোয়ার। তিনি আল্লাহর রাস্তায় সময় দেয়ার প্রথম অভিজ্ঞতার কথা মিডিয়ার কাছে বর্ণনা করেছেন।

তাবলিগের প্রথম তিনদিনের কারগুজারি শোনার আগে তার সম্পর্কে কিছু বলি। তার জন্ম ০১ মার্চ ১৯৮০। তিনি একজন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক।

আফ্রিদি ১৯৯৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ২৭টি টেস্ট ম্যাচ, ৩৪৯টি ওডিআই ম্যাচ ও ৫৬টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর কেনিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে এবং ১৯৯৮ সালের ২২ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে।

একজন সফল অলরাউন্ডার হিসেবে আফ্রিদি তার সামঞ্জস্যপূর্ণ বোলিং এবং আগ্রাসী ব্যাটিং স্টাইলের জন্য সমাদৃত। আফ্রিদি ৩৭টি ডেলিভারিতে দ্রুততম ওডিআই সেঞ্চুরি করার বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী ছিলেন।

আফ্রিদি তার জীবনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, আমার তো অনেক বন্ধু আছে। কিন্তু আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু আমার প্রিয় সে মাওলানা সাহেব, যিনি আমার আখেরাতের চিন্তা করে।

তিনিই আমাকে সর্বপ্রথম এ বোধটুকু দিয়েছেন, আমি পৃথিবীতে শুধু টাকা কামানো আর ক্রিকেট খেলতে আসিনি। আমার পৃথিবীতে আসার আরো উদ্দেশ্য আছে। বিষয়গুলো আমার মাথায় আসার পর সেদিনই প্রথম তাবলিগে যাই। আল্লাহর রাস্তায় তিনদিন সময় দেই।

আমি গভীরভাবে চিন্তা করি, আমি একদিন অন্ধকার কবরে একা থাকবো। আমার আশপাশে কেউ থাকবে না। তখন আমার কবরে শুধু আমার আমলনামা থাকবে।

আমার পাশে আমার বিবিও থাকবে না আমার ছেলে-মেয়েও থাকবে না। আমি প্রথম যখন আল্লাহর রাস্তায় তিনদিনের জন্য সময় দেই। আমি বুঝতে পারি, শহীদ আফ্রিদি যে নামাজ আদায় করে তাতে অনেক অনেক ভুল থাকে। আমি খুবই লজ্জিত হই, আমার নামাজে এত ভুল।

আমি সময় দিতে থাকি আল্লাহর রাস্তায়। অাস্তে আস্তে আমি পরিপূর্ণ নামাজ আদায় করা শিখি। আমার নামাজে নমনীয়তা আসে। আমি আস্তে আস্তে খুব সুন্দর করে নামাজ আদায় করা শিখি। আল্লাহর দরবারে হাজার শুকরিয়া। আল্লাহ আমাকে তার রাস্তায় আসার সুযোগ করে দিয়েছেন দাওয়াতে তাবলীগের মেহনতে।

তবে কোন মাওলানার এমন হৃদয়গ্রাহী দাওয়াতে তাবলিগে যুক্ত হয়েছেন তিনি সে কথা মিডিয়ায় বলেননি।

সূত্র: পাকিস্তানের উর্দু অনলাইন কুদরত ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *